বাকৃবিতে গবেষণা অগ্রগতি-২০২৫ এর বার্ষিক কর্মশালা উদ্বোধন


বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান গবেষণার ধারাবাহিকতায় প্রতিবারের ন্যায় এবারেও 'বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সিস্টেম(বাউরেস)এর উদ্যোগে "বিএইউ রিসার্চ প্রগ্রেস ২০২৩-২০২৪" শীর্ষক বার্ষিক কর্মশালা বাকৃবির সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শনিবার দুপুর ২.৩০টায় ৩ দিন ব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ছিলো
"ফস্টারিং,ক্লাইমেট রেসিলিয়েন্ট এগ্রিকালচার ইন বাংলাদেশ রিসেইপিং এগ্রিকালচারাল রিসার্চ এন্ড এডুকেশন সিস্টেম "। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বাংলাদেশের চেয়ারপারসন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক শিক্ষা ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বাউরেস পরিচালক প্রফেসর ড. মো: হাম্মাদুর রহমান এর সভাপতিত্বে এবং লেকচারার মো: আসিফুর রহমান ও সিনথিয়া হাফসানার সঞ্চালনায় বাকৃবির গবেষণা অগ্রগতির উপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাউরেস এর অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাভিদুল হক ভূঁইয়া।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান এবং কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. নাথু রাম সরকার। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ,অন্যান্য আমন্ত্রিত বিজ্ঞানী, শিক্ষক-কর্মকর্তা, বিভিন্ন পর্যায়ের খামারি-কৃষক এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া ১৯৫২ সন থেকে শুরু করে ১৯৬৯, ১৯৭১ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সন পর্যন্ত যারা দেশের জন্য, সমাজে সত্য এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি সময়োপযোগী কৃষি গবেষণার জন্য সংশ্লিষ্ট গবেষকদের সহায়তার আশ্বাস দেন।দেশের মাঠপর্যায়ের কৃষক এবং খামারিরা যেন লাভবান হয় এবং সাসটেইনেবল ফার্মিং করতে পারে সেদিকে বাকৃবির গবেষকদের লক্ষ্য রাখতে গবেষণার মান বজায় রাখা এবং সর্বোপরী রিসার্চ আউটপুট যেন দ্রুত মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নিকট পৌছায় সেদিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্র
্যাক চেয়ারপারসন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান শুরুতেই ১৯৫২ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত যারা দেশের প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করেছে তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।বাকৃবি শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ছাত্রী এটা জেনে তিনি উৎফুল্লতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার ক্ষেত্রে বাকৃবি গবেষকগণ পথিকৃৎ হয়ে থাকবেন। জলবায়ু পরিবর্তনে কৃষির ক্ষেত্রে আমাদের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাকৃবি গবেষকবৃন্দ সফল থেকে সফলতর হবেন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি এধরণের সম্মেলন আয়োজনের জন্য বাউরেস কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে গবেষণা খাতে বাকৃবির সাথে ব্র্যাকের সহযোগীতা আরো বৃদ্ধি পাবে এমন আশ্বাস প্রদান করেন।
উল্লেখ্য , তিনদিন ব্যাপী এই কর্মশালার প্রথম দিনে গবেষণার বিশেষ অবদানের জন্য তিনটি ক্যাটাগরিতে ১৭ জন শিক্ষককে বিশেষ সন্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ৫ জন কৃষক/খামারিকে প্রফেসর ড.আশরাফ আলী খান স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হয় এবং কৃষি বিষয়ক সাংবাদিকতায় একজনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। গবেষণার ক্ষেত্রে শীর্ষ পর্যায়ে অবস্থানের জন্যে বাকৃবির ৯ জন শিক্ষকবৃন্দকে বিশেষভাবে সন্মাননা প্রদান করা হয়।
