প্রশিক্ষণে ব্যায়িত অর্থের সদ্ব্যবহার করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব - বাকৃবি ভিসি

প্রশিক্ষণে ব্যায়িত অর্থ জনগণের অর্থ। এই অর্থে আপনার আমার সকলের অংশ আছে। জনগণের দেয়া ভ্যাট ট্যাক্সের প্রতিটি পয়সার সদ্ব্যবহার করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গ্রাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (জিটিআই) এর পরিচালনায় কর্মচারীদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘প্রশাসন ও অফিস ব্যবস্থাপনা’এবং ‘বেসিক অব এমএস অফিস’ শীর্ষক ২টি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাকৃবি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া এসব কথা বলেন। ০৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় জিটিআই শ্রেণীকক্ষে প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া তিনি আরও বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের মধ্যে নব জাগরণ তৈরি হবে, নতুন উদ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞান প্রয়োগ করার দক্ষতা অর্জন করবে। প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু সম্বলিত প্রতিটি ক্লাস থেকে যদি নতুন নতুন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা যায়, তবে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে আপনার ভূমিকা অধিকতর সৃষ্টিশীল হবে।এ প্রশিক্ষণ থেকে আপনারা যা শিখলেন তা নিজ অফিসে কাজে লাগাবেন এবং যারা প্রশিক্ষণ নিতে পারে নাই তাদেরকে শেখাবেন। চাকুরিজীবীগণ এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্য। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের মনে করতে হবে এবং এর কোন ক্ষতির সম্ভাবনা দেখলেই আপনারা কর্তৃপক্ষের নিকট তা তুলে ধরবেন এবং প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন এটা আমার প্রত্যাশা ।

জিটিআই এর পরিচালক প্রফেসর ড. বেনতুল মাওয়া এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মোঃ হেলাল উদ্দীন। এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ‘বেসিক অব এমএস অফিস’ কোর্সের কোর্স কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর এ.কে.এম. রফিকুল ইসলাম।জিটিআই এর লেকচারার জনাব আইরিন আক্তার ও ডাঃ মোঃ সবুজ রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার (অ.দা.) প্রফেসর ড. হুমায়ূন কবির, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ আবদুল আলীম, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী সালেহ্ আহমদ এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার- ১ কৃষিবিদ ড. এ. কে. এম. মাহবুবুর রশীদ গোলাপসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ০৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) হতে ১২দিন ব্যাপি এ প্রশিক্ষণ কোর্সে বাকৃবি’র মোট ৫৫জন কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।